ঢাকা : এনেক্সকো টাওয়ারের আগুন নির্বাপনে বেশ কিছু বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা। প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে আমরা চেষ্টা করছি আগুন নির্বাপন করতে। আশা করি আজকেই আগুন নির্বাপন করতে পারবো।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এন্ড মেন্টেনেন্স বিভাগের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা এনেক্সকো টাওয়ার থেকে পন্য বের করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ভেতরে গিয়ে পানি দিচ্ছে। কিন্তু ভেতরে এত বেশি মালামাল রাখ যে পানি দিতেও সমস্যা হচ্ছে। পানি দেয়ার সময় অনেকে অসুস্থ হয়ে পরছেন। এরকম অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখনো অনেক পন্য আছে মার্কেটের ভিতরে। সেখানে ঠিক ভাবে ঢোকাই যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করে চলেছি ঐ গোডাউনগুলোতে দ্রুত ঢুকতে। সেখান থেকে পন্য বের করতে ও আগুন নেভাতে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবাজারের আগুন এখনো থেকে থেকে জ¦লে উঠছে। যাতে সেখানে আগুন আর বাড়তে না পারে সেজন্য আমরা কাজ করে চলেছি। সেখানেও পানি দেয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আহত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তবে দুজন এখনও শঙ্কামুক্ত হননি। মানুষের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে একজন কণ্ঠনালীতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আপনাদের কাজ করতে গিয়েই আমরা আহত হচ্ছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
এই কর্মকর্তা জানান, এত পন্য মজুদ করার নিয়ম নেই। তারপরও এখানে মাত্রাতিরিক্ত পন্য মজুদ করা হয়েছে। কেউ চিন্তাই করেনি ফায়ার সেফটির কথা। ফায়ার সেফটি না থাকায় এত বড় অঘটন ঘটেছে।
তিনি বলেন, এই স্থানে এখনো ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এই জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে পানি স্বল্পতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুরে ১৪টি পাম্প সেট করে পানি আনতে হয়েছে। এছাড়া আর অন্য কোথাও থেকে পানি আনা সম্ভব হয়নি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই