ঢাকা : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে চলছে সংকট। বেড়েছে ডলারের দামও। এর মধ্যেই ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।তবে এবারের নির্বাচনে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও দেশের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে পুরোনো মেশিন মেরামত ও নতুন মেশিন কেনার প্রক্রিয়া অনেক সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই লাখ ইভিএম মেশিন কিনতে আট হাজার ৭১১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল ইসি। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদন পায়নি একনেকে। এছাড়া পুরোনো দেড় লাখ ইভিএম মেরামতের জন্য ১২৫৯ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল সরকারের কাছে। কিন্তু সে টাকাও মেলেনি। এসব সমস্যার পাশাপাশি দেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি ও পরামর্শ এবং ইভিএম-এ ভোট দান কারো কারো কাছে এখনও সহজ মনে না হওয়ায়, তাকে সহজতর করতে এবং ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের ভীতি দূর করে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও বিবেচনায় ছিলো নির্বাচন কমিশনের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইভিএমে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা, ভোট দিতে বিলম্ব হওয়া, কারিগরি ত্রুটিসহ নানাবিধ কারণে সাধারণ মানুষ জটিলতায় পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। ব্যালটে ভোট করতে এ বিষয়গুলোও বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মূলত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের ভোটদান সহজীকীকরণ নিশ্চিত করতে ইভিএম বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশন এবার ব্যালটে ফিরেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইভিএম বাদ দেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলছেন, “ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা ছিল না। কারও কারও আপত্তি ছিল, ঘোর বিরোধিতাও ছিল। সব বিবেচনা করে বর্তমান কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, (৩০০ আসনে ব্যালট পেপার থাকবে) তা সঠিক সিদ্ধান্ত।”
উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালট পেপারে ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হবে বলে গত ৪ এপ্রিল গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই