ঢাকা: পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি অনুমতি (আইপি) দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ১ মাস আগে ৩০ টাকা ছিল। যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ অবস্থায়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (Import Permit) প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
এর আগে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দাম না কমলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
শনিবার পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়াও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বলেন, আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি।
মজুদের জন্য কৃষকদের দোষারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়ার আশায় অনেকেই ঘরে মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন।
গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও অসাধু আড়তদারদের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।
সোনালীনিউজ/আইএ