ঢাকা : বাংলাদেশে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েই চলেছে। গত এক বছরে দেশে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশে। যা আগের বছর ছিল ০ দশমিক ৭ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় এই বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন।
[201082]
তিনি জানান, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে। দেশে বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ছিল ০ দশমিক ৭ শতাংশ। এই বিবাহ বিচ্ছেদের হার পল্লী এলাকায় ০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে বিবাহ বিচ্ছেদের হার দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশ।
[201098]
তিনি আরও জানান, জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করার তিনটি পরিসংখ্যানিক স্বীকৃত পদ্ধতি হলো- শুমারি, নিবন্ধীকরণ ও নমুনা জরিপ। নিবন্ধীকরণ পদ্ধতি উন্নততর ও সুবিধাজনক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল হতে দুটি জনশুমারির মধ্যবর্তী সময়ে নমুনাভিত্তিক নিবন্ধীকরণের মাধ্যমে জনতাত্ত্বিক উপাত্তসমূহের প্রাক্কলন করা হয়ে থাকে। শুরুতে নমুনা এলাকা ছিল মাত্র ১০৩টি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জরিপের গুণগত পরিধি বৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে নমুনা এলাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০১২টি। প্রত্যেকটি নমুনা এলাকায় একজন করে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ স্থানীয় মহিলা রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে থানা ভিজিট করে নির্ধারিত তফসিল ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।
[201084]
অনুষ্ঠানে বিবিএস ডিজি (চলতি দায়িত্ব) পরিমল চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই