ঢাকা: স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তরগুলোর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা ওয়াসা।
রোববার (২৫ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/ সিটি কর্পোরেশনসমূহের সাথে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের হাতে ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলাতন্ত্রকে জনবান্ধব করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন তার মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধচার পুরস্কার অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কর্মচারীদের জনগণের সেবা দেওয়ার মন-মানসিকতা তৈরি হবে। সবাই তার নিজ নিজ কাজের স্বীকৃতি চায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অর্জনের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় এখন প্রতিবছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবাই সচেষ্টা থাকে। এছাড়াও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমরা কতটুকু অগ্রসর হলাম তা প্রতিবছর মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম সভাপতিত্বের বক্তব্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুরস্কারপ্রাপ্তরা অন্যান্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মচারী জনসেবায় আরও নিবিড়ভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করবেন।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সমূহের সাথে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান মুঠোফোনে বলেন, প্রতি বছরই আমরা চেষ্টা করি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পূর্ণরুপে শেষ করতে। এবার আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে থাকা ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট পয়েছে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। উল্লেখ্য এখানে মোট নম্বর ১০০।
তিনি আরো বলেন, এই সাফল্য পুরো ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। এই সাফল্য সবাইকে ধরে রাখতে হবে। সেজন্য মানুষকে সেবা দেয়ার পাশাপাশি সরকারের নির্ধারিত কাজগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়া, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসা দ্বিতীয় স্থান, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম স্থান এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আরো একবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
সোনালীনিউজ/এলআই/আইএ