কানাডা খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে: মোমেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৮:২১ পিএম

ঢাকা : ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কানাডা খুনিদের আড্ডাখানা বা আশ্রয়স্থল হতে পারে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, খুনিরা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন ও সুন্দর জীবনযাপন করেন। একদিকে খুনিরা কানাডায় নিরাপদে রয়েছে, অন্যদিকে নিহতের পরিবারের লোকজন কষ্টে দিনযাপন করছে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যপর্ণ বিষয়ে কানাডার অবস্থান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এক ধরনের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান অপরাধীদের জন্য একটি প্রতিরক্ষা কবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

[207949]

তিনি বলেন, ‘তাদের (কানাডার) একটি আইন রয়েছে। সেটি হলো, যদি কোনো ব্যক্তি তার নিজ দেশে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিপ্রাপ্ত হন, তাহলে কানাডার আইন অনুসারে, তারা সেই ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে পারে না আমরা কানাডা সরকারের কাছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি। দুর্ভাগ্যবশত, কানাডা আমাদের কথা শুনছে না, বরং বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে আসছে।’

আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন ও সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে নূর চৌধুরী যদি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তাহলে তিনি ও রশিদ চৌধুরী উভয়েই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন। এটা প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার।

তিনি বলেন, আমি আশাবাদী এবং আমি বিশ্বাস করি যে একদিন কানাডিয়ান সরকার এই অনিয়ম পরিবর্তন করবে কারণ কানাডা এখন খুনিদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। আমি জানি, কেউ খুনি হলে তারা নানা ধরনের মিথ্যা ছলনা করে কানাডায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ও এই প্রক্রিয়ায় কানাডা খুনিদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। কানাডা একটি সুন্দর দেশ। তবে এই বিশেষ আইন কানাডার সুনামকে প্রভাবিত করছে। কানাডার খুনিদের আশ্রয় দেয়া উচিত নয়।

এমটিআই