ঢাকা : উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের চেষ্টায় কোনো ঘাটতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহায়তার উপর নির্ভর করতে হবে। সরকারের জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে সুদৃঢ় এবং সহজ হবে সেটা বের করে নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য অর্থাৎ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের ফলাফল উঠে আসবে।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনতে চাইব; বিশেষ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি কতটা সম্পন্ন হয়েছে এবং কতটা ঘাটতি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব।
[208431]
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবার সকল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিশন।
সভা শেষে ইসির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৬৪ জেলা ও ১০টি অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
এটা মূলত প্রাথমিক সভা। কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে, কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মূলত ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে কিনা, একেক অঞ্চলে একেক সমস্যা থাকতে পারে। সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যেমন পার্বত্য অঞ্চলে কিছু কেন্দ্র আছে। এরকম সব জায়গায় কিছু কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা আছে, তা অবহিত হয়েছে কমিশন। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে ইসিতে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাসহ সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, মাঠ কর্মকর্তারা কোনো ঘাটতির কথা উল্লেখ করেননি। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলে, এজন্য তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে। এই বিষয়েই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি জানিয়ে অশোক কুমার বলেন, “তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ বা সংকটের কথা তারা বলেনি। মাঠের পরিবেশ এখনও ভালো আছে। বৈঠকে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার কথা বলেছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সকলের সহযোগিতা নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে।
আমাদের প্রশিক্ষণ আছে ডিসি, এসপিদের সঙ্গে। সে সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে, এটা প্রশাসনিক বিষয়। কোনো রাজনৈতিক সমস্যার কথা তারা বলেননি।
এমটিআই