কাজে ফিরছে পোশাক শ্রমিকরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবির আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে। ঢাকাসহ সাভারের আশুলিয়া ও গাজীপুরে বন্ধ থাকা কারখানাগুলো একে একে খুলছে। কাজেও ফিরছেন শ্রমিকরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন পোশাক শ্রমিকরা।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা ১৩০টি পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুরোদমে চলছে উৎপাদন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, ভোগড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

এর আগে গতকাল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার শ্রমিকরা কাজে ফিরছেন। আশুলিয়া ও মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।

এছাড়া টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ পোশাকশিল্প অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকার কারখানা খোলা ও সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনাবাড়ি এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড, তুসুকা গ্রুপের তুসুকা ডেনিম, তুসুকা জিন্স, তুসুকা ওয়াশিং, ফাইজা প্রভিন্স, এমএম নিটওয়্যার ও স্বাধীন গার্মেন্টস ছাড়া গাজীপুরের অন্য সব কারখানা গতকাল চালু ছিল।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পাশে সফিপুর বাজার, মৌচাক, তেলিচালা, কোনাবাড়ি, জরুন ও ভোগড়া এলাকার কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তাদের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরাও টহল দিচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

জরুন এলাকার ডেল্টা গার্মেন্টসের শ্রমিক আক্তার বলেন, সরকার যে পরিমাণ বেতন বাড়িয়েছে, তা দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার টাকা হলে মোটামুটি চলত।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অবস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) ইমরান আহম্মেদ জানান, তুসুকা, স্ট্যান্ডার্ড, ফাইজা, এমএম নিট ও স্বাধীন গার্মেন্টস ছাড়া গাজীপুরের সব কারখানা চালু হয়েছে। সব কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওয়াইএ