ছুটির সকালে কেঁপে উঠল বাড়িঘর, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম

ঢাকা : শীত আসি আসি করছে, তার উপর ছুটির সকাল। তাই আলস্যভাব কাটেনি অনেকের। কিন্তু এরই মধ্যে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন অসংখ্য মানুষ।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর বাংলামোটরে বেসরকারি অফিসে কর্মরত একজন জানান, অফিসে কাজ করার সময় হঠাৎ পুরো ভবন কাঁপতে থাকে। এ সময় তিনি ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অফিসের সবাই যার যার রুম ছেড়ে বের হয়ে আসেন।  

ভূমিকম্পের সময় বাসাতেই ছিলেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো.ইসমাইল খান। নাতিকে নিয়ে নাস্তা খাচ্ছিলেন। তিনি জানান, হঠাৎ করে ভূমিকম্প শুরু হয়। তাৎক্ষণিক পরিবারের সবাই বাসার বাইরে এসে সড়কে অবস্থান নেন।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তিনি গ্রামের একটি দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হয়। তিনি রাস্তায় বের হয়ে আসেন। পাশের পুকুরে দেখতে পান, পানি কাঁপছে। গ্রামের মানুষজন এখন ভূমিকম্প নিয়েই আলোচনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূগর্ভের প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। ফলে এর কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে।

এছাড়া অল্প সময়ে হওয়া এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেক থাকায় কমবেশি সবারই অনুভূত হয়েছে কম্পন। আতঙ্কিত মানুষ ঘর ছেড়ে ছুটে এসেছেন সড়কে।

[212446]

এর আগে গত ১৬ জুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। গত ৫ মে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অনুভূত ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় ঢাকার কাছে দোহারে।

এই বিষয়টিকে বড় ভূমিকম্পের লক্ষণ হিসেবে দেখছেন দেশের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আর দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে, দেখা দেবে বিপর্যয় বলছেন তারা।

বড় ভূমিকম্প হলে ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধার, আহতদের চিকিৎসা এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন করে সব গড়ে তোলার জন্য এখন থেকেই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার পরবর্তী প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমটিআই