ঢাকা: নির্বাচন ঘিরে সংঘাত, আচরণবিধি লঙ্ঘন বন্ধ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে আসা কোনো কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া এবং জরিমানার মতো শাস্তি দিচ্ছেন। সরকারি দলের পক্ষ থেকে সংঘাতে না জড়াতে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সংঘাত-সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘন বন্ধ হচ্ছে না।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ও গতকাল বুধবার পাঁচটি জায়গায় প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন এবং তিনটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর প্রচার শুরুর পর থেকে ১০ দিনে ৮৩টি জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটল। আর তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অনুসন্ধান কমিটিগুলো আচরণবিধি লঙ্ঘনের মোট ২৫৬টি অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
অবশ্য প্রার্থীদের কেউ কেউ মনে করেন, ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ জোরালো ভূমিকা রাখছে না। যেমন মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, তার আসনে হুমকি, হামলা, প্রচারে বাধার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। প্রতিটি বিষয়ে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ভোটে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নেই। বর্জন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শতাধিক আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দুটি বড় দলের একটি বিএনপি অংশ না নেওয়ায় এবারের নির্বাচনে ইসির আসল পরীক্ষা হচ্ছে না। দুই-তৃতীয়াংশ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নেই। তারপরও নির্বাচন ঘিরে সংঘাত, সহিংসতা, হুমকি, আচরণবিধি লঙ্ঘন থামানো যাচ্ছে না। সংঘাতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে এই শিক্ষক দম্পতিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল ও উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়া এবং প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়। গোলাম রব্বানী বলেন, এটা যে করা যাবে না, তা তাঁর জানা ছিল না। অবশ্য রেহানা খাতুন বলেন, ‘উপজেলায় এমন অনেকেই আছেন।’
প্রচার-গোপন বৈঠকে তারা
সরকারি কর্মচারীরা কোনো দলের বা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার বা সমাবেশে অংশ নিতে পারেন না। সেটা না মেনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, যিনি একসময় রেল মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের পায়েরখোলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তাকে দেখা যায়। তার বাড়ি একই ইউনিয়নে।
কিবরিয়া মজুমদার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহশিক্ষা সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে নির্বাচনী সমাবেশের মঞ্চে বসানো হয়। যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি, তিনি নৌকার প্রার্থীর কয়েকটি সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল তাকে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি।
সিরাজগঞ্জ-১ (সদরের একাংশ ও কাজীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর শাকিলের নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দম্পতি। তারা হলেন কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের মেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী ও তার স্ত্রী রাজবাড়ি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহানা খাতুন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে এই শিক্ষক দম্পতিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল ও উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়া এবং প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়। গোলাম রব্বানী বলেন, এটা যে করা যাবে না, তা তার জানা ছিল না। অবশ্য রেহানা খাতুন বলেন, ‘উপজেলায় এমন অনেকেই আছেন।’
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বাসায় ৩৭ শিক্ষকের বৈঠকের বিষয়টি গোপন ছিল। সেটি জানাজানি হয় একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর। এতে দেখা যায়, শিক্ষকদের উদ্দেশে শাজাহান খানের ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান খান বক্তব্য দিচ্ছেন। পাশে বসা ছিলেন শাজাহান খান।
শিক্ষকদের উদ্দেশে ওবায়দুর রহমান খান বলেন, ‘আপনারা ৩ আসনের (মাদারীপুর-৩) বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন। নিকটাত্মীয়দের নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের প্রাণপ্রিয় নেতা শাজাহান খান নির্দেশিত হয়েছেন যে ৩ (মাদারীপুর-৩) আসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এবং প্রচার চালানোর জন্য। সেই হিসেবে আমরা কিন্তু তিনের ওপর বেশি দায়িত্ব পালন করতেছি। আপনারাও তিনে সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বলেন, সভায় যে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনারা ৩ আসনের (মাদারীপুর-৩) বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন। নিকটাত্মীয়দের নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের প্রাণপ্রিয় নেতা শাজাহান খান নির্দেশিত হয়েছেন যে ৩ (মাদারীপুর-৩) আসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এবং প্রচার চালানোর জন্য। সেই হিসেবে আমরা কিন্তু তিনের ওপর বেশি দায়িত্ব পালন করতেছি। আপনারাও তিনে সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে মেহেরপুরে একই আসনে চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ স্বীকার করে সাইদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না।’
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
মেহেরপুরে নৌকার পক্ষে প্রচারে রাজি না হওয়ায় সংরক্ষিত এক নারী ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্যকে লাঞ্ছিত করে পরিষদ চত্বর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[214058]
আরও আগুন ও হামলা
নতুন করে হামলার ঘটনা ঘটেছে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় গতকাল। পাশাপাশি নৌকার একটি প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় চারজন আহত হন। তারা হলেন মাসুদ মিয়া (৩৩), মারুফ হোসেন (২৩), জাকির হোসেন (৩৫) ও নিয়ামত আলী (৭০)। তাদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সবাই গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. রেজাউল করিমের কর্মীরা হামলার জন্য দায়ী। তবে রেজাউলের দাবি, নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা নিজেরা ঘটনাটি ঘটিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।
ফরিদপুর-৩ আসনে গতকাল ভোরে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের একটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে তালা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ-৪ (ময়মনসিংহ সদর) আসনের দাপুনিয়া বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহিত উর রহমানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা এবং নগরের চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকায় অপর একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। দুটি ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে।
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ।
নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনা গাজীপুরেও আছে। গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-সদর একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী রুমানা আলীর একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পূর্ব বেড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুরে নৌকার পক্ষে প্রচারে রাজি না হওয়ায় সংরক্ষিত এক নারী ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্যকে লাঞ্ছিত করে পরিষদ চত্বর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী রহিমা খাতুন। তিনি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ও মেহেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ। গতকাল সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মমতাজ বেগম। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, তার অনুসারীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিয়ে আসছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীরা। তার পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচনী মাইকিংয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আইনে কী আছে
আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য ভোটের মাঠে কাজ করছেন কমবেশি ৮০০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া প্রতিটি আসনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে আছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কোনো অভিযোগ তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রতিবেদন দেবে। এর ভিত্তিতে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দলকে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারে বা প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সুযোগ আছে।
এআর