ঢাকা : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য হলফনামায় প্রকাশ হলেও তাদের (প্রর্থীদের) ইমেজের কথা বিবেচনায় রেখে ভোটের আগে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পরেও তো হলফনামা দেখে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে দুদক বিটের সংগঠন রিপোর্টার অ্যাগেইনেস্ট করাপশন (র্যাক) আয়োজিত এমজিআই-র্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড -২০২৩ ”এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
[214437]
হলফনামা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। আর ৬ দিন আছে। নির্বাচনটা সম্পন্ন হোক। এখন অনেক তথ্য আছে, কোনো একজনের হয়তো দুই লাখ টাকা ছিল, এখন এক কোটি টাকা হয়ে গেছে। প্রায় ৫০ গুণ অর্থ সম্পদ বেড়েছে। একজন সংসদ সদস্য মাসে কত টাকা ভাতা, বিভিন্ন অ্যালাউন্স পান সেটা যদি যোগ করি এক কোটি টাকা হতেই পারে। এগুলো ধরে সঙ্গে সঙ্গে যদি অনুসন্ধান শুরু করি তার ইমেজটা কী হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা অনুসন্ধান করে দেখলাম ঠিক আছে, কিন্তু মাঝখান দিয়ে তার ইমেজটা কী হবে অনুসন্ধান শুরু করলে। সম্পদ যদি বাড়ে এটা তামাদি হয়ে যাবে না। নির্বাচনটা হোক সত্য-মিথ্যা যা আছে, এটা প্রমাণ করার সুযোগ তো আছেই।’
তিনি বলেন, এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে দুর্নীতিটা বন্ধ হয়। সবার কাছে একটা অনুরোধ, আপনারা কোনো ফরমায়েশি প্রতিবেদন করবেন না। এতে সেই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হবে না। সংবাদের স্বকীয়তাও থাকে না।
এমটিআই