ঢাকা: বস্ত্র খাতের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিচল আস্থা রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘কয়েকটি পণ্যে নির্ভর না করে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। গুটিকয়েক দেশের ওপর নির্ভর না করে বিশ্বের সব সম্ভাব্য স্থানে রপ্তানি পণ্যের বাজার ছড়িয়ে দিতে হবে। কাজে লাগাতে হবে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে, অগ্রাধিকার দিতে হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র খাতের উন্নয়ন ও রফতানিতে ভূমিকা রাখায় জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বৈদেশিক বাণিজ্য এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, প্রতিযোগিতামূলোক এবং জ্ঞান ও নীতিভিত্তিক। তাই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
[218305]
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাংলাদেশের বিকাশমান বস্ত্র খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও সমৃদ্ধ করবেন বস্ত্র খাতকে। তিনি কাজ জানেন; তিনি কর্মঠ মানুষ।’
পোশাক কারখানার মালিকদের উদ্দেশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার ১৩টিই বাংলাদেশের। মনে রাখতে হবে, আপনারা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দুষ্টচক্র যাতে উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লেবার আইন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু কারখানা ও শ্রমিক একে অন্যের পরিপূরক।’
এমএস