ঢাকা: চার দিনের সফর শেষে বাংলাদেশ ছেড়েছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে দিয়ে তিনি ভুটানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
সফরের শেষ দিন কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর তীরে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন রাজা। এ সময় তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুরে যান রাজা। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম যান তিনি।
২৫ মার্চ একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের রাজা ও তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে রাজাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
ভুটানের রানি, পরিবারের সদস্য, ভুটানের সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাজার সফরসঙ্গী ছিলেন। বাংলাদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রথম কোনো ভিভিআইপির সফর।
ভুটানের রাজার সফরকালে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ ছাড়া একটি বিদ্যমান চুক্তি পুনরায় নবায়ন করা হয়। রাজা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ভুটানের রাজা সফরের প্রথম দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি ২৬ মার্চ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ২৭ মার্চ পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শনে যান।
সফর শেষে ভুটানের রাজা কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন। তবে রাজার সফরসঙ্গীদের একাংশ ২৭ মার্চ বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বিদায় নেয়।
আইএ