ঢাকা: গত মাসে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বেশ কিছু পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এখন পরিস্থিতি ভালো হয়েছে এবং লোডশেডিং শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সারাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। গত এক মাস যাবত এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ আছে। সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
[222798]
পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেল ও আর্থিক স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা, যেসব প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তারা আনতে পারছিলেন না। যে কারণে প্রথম দিকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল। তবে সেটা কমে এসেছে। পরে ৫০০ থেকে শূন্যে নেমে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি, নিজেদের দিক থেকে তেল সরবরাহ করার। এখন সেটার ব্যবস্থা চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেদিকে নজরদারি করে আমরা এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি। এ বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে। আমরা সেটার ব্যবস্থা করে একটা ভালো অবস্থায় আছি।
[222792]
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ায় সবসময় তিনি নজরদারি রাখেন যাতে বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত মিটে যায়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড সত্ত্বেও লোডশেডিং কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের রেকর্ড সঙ্গে সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। কাজেই এখানে একটা পার্থক্য আছে। এবার বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেটার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। অর্থের সংস্থান এবং তেলের চাহিদা, এ দুটোর সমন্বয় করতে যতটুকু সময় লেগেছে, সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
এমএস