‘খুব ইচ্ছা, জাহাজ থেকে নামলেই বুকে জড়িয়ে ধরব ছেলেকে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ০৪:১০ পিএম

ঢাকা: শেষ হচ্ছে দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা। জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকে ফিরে আসার অপেক্ষা। হারানোর আতঙ্ক ভুলে মায়ের বুকে ফিরে আসার অপেক্ষা। জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষা। 

যে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে)। এদিন বিকেলে চট্টগ্রামের সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। যদিও আজ রাতেই কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকে নাবিকদের লাইটার জাহাজে করে নেওয়া হবে চট্টগ্রামে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় প্রবেশ করেছে জাহাজটি। অর্থাৎ কক্সবাজার উপকূলে রয়েছে। 

এদিকে নাবিকদের ফেরার খবরে স্বস্তি ফিরেছে পরিবার-স্বজনদের মনে। স্বজনরা করছেন নানান পরিকল্পনা। নাবিকরা তীরে এলে জেটিতে গিয়ে তাদের বরণ করতে চান স্বজন সবাই। এ জন্য লাগবে মালিকপক্ষের সবুজ সংকেত। কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন সেই সংকেতের। আবার কেউ বলছেন— সংকেত যা-ই হোক, বরণ করতে নদীর তীরে যাবেন তারা। 

তাদেরই একজন জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর বেগম। তিনি জানান, ‘মনের খুব ইচ্ছা, জাহাজ থেকে নামার পরই বুকে জড়িয়ে ধরব ছেলেকে। তিন নাতিনকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার।’

[223245]

শুধু স্বজনরাই নন, যেন তর সইছে না নাবিকদেরও। অধীর আগ্রহে রয়েছেন কখন ফিরবেন পরিবারের কাছে। জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানিয়েছিলেন, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাড়ির পথে যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।

এমএস