নাবিক নুরুদ্দিনের স্ত্রী

আজ আমাদের আনন্দের দিন, ঈদের দিন

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

চট্টগ্রাম: ঈদ শেষ হয়েছে অনেকদিন আগে। কিন্তু, এবারের ঈদ ছিল সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের নাবিক ও তাদের পরিবারের জন্য বিষাদময়। স্বামী জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসায় এবার জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারে ঈদ এসেছে মঙ্গলবার (১৪ মে)।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নাবিক জিএস নুরুদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। 

আজ সকাল থেকেই স্বামীর অপেক্ষায় ছিলেন জান্নাতুল। বিকেলে বন্দর জেটিতে কথা হয় তার সঙ্গে। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জান্নাতুল বলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন। ঈদের দিন। আজ অনেকদিন পর স্বামীর সঙ্গে দেখা হবে। তিনি দস্যুদের হাতে বন্দি থাকাকালীন আমরা অনেক উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম।’

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৩ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছান ‘এমভি জাহানমনি’ নামের অপর একটি জাহাজের মাধ্যমে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমবি আব্দুল্লাহ।  জাহাজটি কর্তমানে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। বিকল্প একটি টিম দেওয়া হয়েছে সেই জাহাজে। আর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনসিটি জেটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর নাবিকরা যার যার ঘরে চলে যাবেন। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকরা আজ স্বজনদের দেখা পাবেন।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক
জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুরউদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।