ঢাকা : জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় তার সরকারের পদক্ষেপ অনুসরণ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুর্দশা হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. নাতালিয়া কানেম তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নারী শিক্ষার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্কুল পরীক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা সংখ্যা ও শিক্ষাকার্যক্রমে সফল্য উভয় ক্ষেত্রেই ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক এসএসসি পরীক্ষায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা নম্বর ও পাসের শতাংশে ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি আমাদের মেয়ে-বান্ধব নীতির জন্য সম্ভব হয়েছে, তিনি বলেন, অনেক অভিভাবক অতীতে এমনকি তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পর্যন্ত ইচ্ছুক ছিলেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তাঁর সরকার ১৯৮১ সালে তাঁর দেশে ফেরার পর সংগৃহীত অভিজ্ঞতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মেয়েদের শিক্ষার প্রসারের জন্য নীতি প্রণয়ন করে।
এ প্রসঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি এবং স্কুল ফিডিং কর্মসূচি প্রবর্তন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
[223443]
এছাড়াও, এখন মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত হওয়ায় প্রচুর সংখ্যক মেয়ে স্কুলে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বৈঠকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার, প্রজনন স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহ ও নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এমটিআই