বজ্রপাতে ৩ জেলায় প্রাণ গেল ৭ জনের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ১০:১৬ এএম

ঢাকা : দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বজ্রপাতে তিন জেলায় সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন নরসিংদীতে, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুইজন ও গাজীপুরে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং হাজীপুরে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং ধান কাটা শ্রমিক করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহত কামাল মিয়া জানান, স্ত্রী, সন্তান ও একজন শ্রমিক নিয়ে সকাল থেকে মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় এবং হঠাৎ বজ্রপাত হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

[223636]

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় বজ্রপাতে মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দুই কৃষকের। তারাও মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার চৌদ্দপুর গ্রামের আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন। নিহতরা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা কালিহাতী উপজেলার নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত মিয়ার ধান কাটার জন্য গত এক সপ্তাহ আগে তার বাড়ি এসেছিলেন।

[223629]

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলার বীবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব মিয়া বলেন, নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলেই আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

অপরদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার নামে এক নারী মারা যান। তিনি গলদাপাড়া গ্রামের মো. নূর হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, ফাতেমা আক্তার সকালে তার নানার বাড়িতে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এসময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. তানসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বজ্রপাতে নিহত ফাতেমার শরীরের বামপাশ ঝলসে গেছে।

এমটিআই