ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আজ দেশে ফিরছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
ডিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, ডিবির টিম ঢাকায় এসেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবে। সেখানে হারুন অর রশীদ নানা প্রশ্নের উত্তর দেবেন। ডিবিপ্রধান আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
[224466]
সূত্রটি বলছে, গত পাঁচ দিন ধরে ডিবির টিম কলকাতায় থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য পেয়েছে। তারা দেশটির সিআইডির সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য শেয়ার করেছেন। তারাও তাদের দেশে কী কী পেয়েছেন তাও বাংলাদেশের ডিবি টিমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। উভয়দেশের তথ্য নিয়ে এখন চলছে তদন্ত। তাই ডিবি প্রধান হারুন দেশে ফিরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীভা ভবনের সেফটিক ট্যাংক থেকে চুল ও মাংসের টুকরো পেয়েছে দেশটির সিআইডি। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কিনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সিআইডি। এজন্য ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।
এ বিষয়ে ডিবির হারুন বলেছিলেন, উদ্ধার করা মাংসের টুকরোগুলো আনারের মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ কি না তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। আগে পরীক্ষা হোক তারপর খণ্ডিত মাংসগুলোর বিষয়ে বলা যাবে।
এদিকে ভারতে ডিএনএ দিতে চায় আনারের দুই মেয়ে। এজন্য তারা দেশটির ভিসার জন্য অপেক্ষায় আছেন। ভিসা পেলেই তারা রওনা হবেন। তবে কবে ভিসা মিলবে তা এখনো জানা যায়নি।
বুধবার সারাদিন বাগজোলা খালে তল্লাশী অভিযান চালায় ডিবি। সঙ্গে ছিল সিআইডির টিম। তবে অভিযানে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
গত ১৩ মে কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ হন এমপি আনার। সেদিন থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার পরিবার জানায়। আট দিন পর খবর আসে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় ডিবি বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে অন্যদিকে কলকাতার সিআইডি দুজনকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যায় জড়িত বলে দাবি করেছে উভয় দেশের গোয়েন্দারা।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপহরণ মামলা ও কলকাতায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যার নেপথ্যে সোনা চোরাচালান চক্র জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এমপি আনারকে হানি ট্রাপে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল খুনিরা।
এমএস