ঢাকা: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। ‘কোটা পদ্ধতি মানি না’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না’, ‘কোটা বাতিল করো, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর চার শতাধিক শিক্ষার্থী একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, কলাভবন হয়ে রাজু ভাস্কর্যে যান। এসময় তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।
রাজু ভাস্কর্যে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা আবার মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে লাইব্রেরিতে যান। লাইব্রেরির সামনে গিয়ে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা তখন রক্ত দিয়েছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। কিন্তু আবারও আজ হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।’
নাহিদ বলেন, ‘একটা দেশে কখনো ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। এটা সেই দেশের মেধাবীদের সঙ্গে তামাশা করার মতো। আমরা আমাদের সঙ্গে এ তামাশা মেনে নেবো না। আমরা রাজপথে এসেছি, আজকের এটা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। আমরা আবারও কালকে আসবো। যদি এ রায় বহাল থাকে তাহলে আমরা রাজপথে আবারও নামতে বাধ্য হবো। আমরা আমাদের দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবো না।’
কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে রাজু ভাস্কর্যে আবারও একটি সমাবেশ করা হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো, এ রায় যেন বহাল না থাকে। শিক্ষার্থীরা এরকম বৈষম্য মানবে না।
আইএ