ঢাকা: পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই)। সেতুর মাওয়া প্রান্তে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে যে ব্যয় হবে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
[226423]
ব্রিফিংয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘২০২২ সালের ২৫ জুন আমাদের গর্বের, অহংকারের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে একটা সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।’
তিনি জানান, আগামী ৫ জুলাই এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিল সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল আরও বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে কার্যক্রমগুলো নেওয়া হবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সময় কম, সেহেতু ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। সে জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি করার জন্য বিষয়টি এখানে উত্থাপন করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছে।’
[176334]
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট কতো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, ‘বাজেট ৫ কোটি টাকার ওপরে বিধায় এখানে এসেছে। ৫ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অনুমোদন করতে পারেন। খরচ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত খরচ বলা সম্ভব না।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব আরও উল্লেখ করেন, গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সোনালীনিউজ/ওয়াইএ