গুজব ছড়ালে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব: পলক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম

ঢাকা : ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘গুজব ছড়ানো হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসব অপপ্রচার ও গুজব ঠেকাতে ফেইসবুক, টিকটকসহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া থেকে সহযোগিতা না মিললে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে কথা বলছিলেন পলক।

[227794]

গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু নেগেটিভ কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফেইসবুক টিকটক ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।

যারা এসব সোশাল মিডিয়াতে সক্রিয় আছেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন। কোনো কিছু যাচাই না করে আপনারা বিশ্বাস করবেন না। হয়ত একটা পুরনো ছবি দিয়ে, এআই টুল ব্যবহার করে একটা ভিডিও দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।

পলক বলেন, আমি ফেইসবুক, টিকটক, ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম এর যারা কর্তৃপক্ষ আছেন তাদেরকেও অনুরোধ করব, তারা যেন বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন। বাংলাদেশের ধর্মীয় অনুভূতি ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা। কোনো ধরনের মিথ্যা গুজবকে তারা যেন প্রশ্রয় না দেন।

এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবকে প্রতিরোধ করার জন্য তারা যদি সরকারকে সহযোগিতা না করে, আর যদি তাদের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা না পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

[227788]

বাংলাদেশে ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোর শাখা অফিস চালু করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ফেইসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। তারা এখান থেকে বৈধ ও অবৈধ উপায়ে যে আয় করে, সেটা বিবেচনায় বাংলাদেশকে তাদের আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমরা তাদেরকে বহুবার বলেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি তারা শুধু কেবল তাদের বৈধ ও অবৈধ আয়ের দিকেই নজর দিচ্ছে।

কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তাদের সে রকম দায়িত্ব কর্তব্যবোধ দেখছি না। আমি আবারও তাদের কাছে দাপ্তরিক ভাষায় কঠোরভাবে লিখব। যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের তাদের অফিস, ডেটা সেন্টার এবং অন্যান্য সব কার্যক্রম নিবন্ধিত করে।

বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত যেন বাংলাদেশের মাটিতেই থাকে সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, আমার আপনার তথ্য আমাদের অজান্তেই তারা ব্যবহার করছে ব্যবসার বৃদ্ধির জন্য।

এমটিআই