ঢাকা : গত সোমবার (২২ জুলাই) মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকায় তার মিশন শেষ করে দেশে ফিরে গেছেন তিনি। নানা কারণে পিটার হাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আলোচিত নাম ছিলেন। নানা কারণে বারবার সমালোচিত হয়েছেন।
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, সাবেক সেনা প্রধান আজিজ ও পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তিনি ছিলেন সরব।
[228028]
গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সামাজিক মাধ্যম লিংকডইনে দেওয়া এক পোস্টে পিটার হাস বলেন, এভাবে বাংলাদেশ মিশন শেষ করতে হবে ভাবিনি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছি। দূতাবাসের সব কর্মী, আমার সহকর্মী, পরিবার, বন্ধু ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের পোস্টের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাস, ঢাকার একটি ফেসবুক পোস্ট যুক্ত করেন। পোস্টটি বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চের শুরুতে ঢাকায় আসেন পিটার হাস। ওই বছরের ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি।
[228038]
পিটার ডি হাস যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি একজন পেশাদার কূটনীতিক ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ।
ঢাকায় ১৭তম মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের আগে পিটার হাস্ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসা বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের মুম্বইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডন, বার্লিন, জাকার্তা, ওয়াশিংটনেও মার্কিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার মাটিতে পা রাখার আগেই পিটার হাস্-এর বিষয়ে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়। নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে সম্পর্কে গতি ফেরাতে তিনি কী ভূমিকা রাখতে পারেন তাতে নজর ছিল সবার।
এমটিআই