ঢাকা : শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে চারদিকে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিবেশী মিয়ানমার, ভারতের সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিমবঙ্গ সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়বে অস্থিরতা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ উল্লেখ করে ভারতকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
[229102]
ইউনূস বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই...তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হল গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। তিনি চান দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার আমলে যেটা দীর্ঘকাল ধরে যেটি হয়নি।
[229103]
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হয়েও ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে ভারত বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন একজনকে সমর্থন করেছে, যিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এই বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন। ভারত না করে দিলো।
[229104]
তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশী জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অবস্থান নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তাহলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।
এমটিআই