ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান দুই সমন্বয়ক। দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সোয়া ১টার দিকে তারা বেরিয়ে যান। দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস।
সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। পাশাপাশি নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করার জন্যও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তারা।
গণমাধ্যমকর্মীদের সারজিস বলেন, একটা গোষ্ঠী মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এই দুইটি সমস্যা খুবই প্রকট। কেউ যদি আমাদের নাম ভাঙিয়ে বা না ভাঙিয়ে মিথ্যা মামলা বা চাঁদাবাজির চেষ্টা করে; তাদের বিরুদ্ধে কমিশন যেন কঠোরভাবে অবস্থান নেয়। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুদকে স্পষ্ট বার্তা দিতে এসেছি, আমরা কখনো চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা সমর্থন করি না। যারা এইগুলো করে, তাদেরকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত তুলে দেওয়া হয়।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দুদকে এসেছি। আমরা খবর পেয়েছি-আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ বার্তাটি স্পষ্ট করতে এসেছি। আমাদের লিগ্যাল কোনো অথোরিটি নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ও দেওয়ার এখতিয়ার আমরা রাখি না।’
সিস্টেম সিস্টেমের মত চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দুদকের কাছে এই অনুরোধটি নিয়ে এসেছি। দুদকের যে আইন রয়েছে, তা অনুযায়ী সবকিছু চলবে। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় করতে না পারে, এই বার্তাটি আমরা স্পষ্ট করতে এসেছি।’
হাসনাত বলেন, ‘সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু নিজেদের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছে না, আমাদের বিতর্কিত করার অভিপ্রায়ে আমাদের নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে আমরা বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দাবি করতে পারি না। যারা দাবি করছে-তাদের আইনে সোপর্দ করে দেবেন।’
আইএ