ঢাকা: সব সরকারি চাকরিজীবীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ‘সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে।
পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি আদতে মানছেন না তেমন কেউ। সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি চাকরিজীবীর তেমন আগ্রহ নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে নেই গরজ।
দু’পক্ষের অনীহায় হিসাব দেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই ‘কাগুজে নিয়ম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি তাদের অধীন কর্মকর্তাদের দায়সারা হিসাব নেয় বটে, কিন্তু সেগুলো খতিয়ে দেখা হয় না। কারও অস্বাভাবিক সম্পদ বেড়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হলো।
আইএ