ঢাকা : প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সৌজন্য মতবিনিময়কালে’ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া ইসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
[231263]
এদিকে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের পদ ছাড়তেই হবে। তাই পদত্যাগের জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
তবে নিজেরাই পদত্যাগ করবেন, নাকি এ নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে তা বোঝার চেষ্টায় ছিলেন এতদিন। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় আজ সাংবাদিকদের সামনে আসেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এবং পরে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
[231265]
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
[231261]
একদলীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩, স্বতন্ত্র ৫৬, জাতীয় পার্টি ১১, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে বিজয়ী হয়। এই নির্বাচন মূলত একদলের মধ্যে হয়েছিল।
এমটিআই