ঢাকা: জুলাই অভুত্থানের এক মাস ও শহীদদের স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘শহীদি মার্চ’ শেষে পাঁচ দফা ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে দফাগুলো ঘোষণা করেন অন্যতম সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
শিক্ষার্থীদের দফাগুলো হলো- গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে; প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে; গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে; রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
[231312]
সমম্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সে রক্ত এবং স্পিরিট বৃথা যেতে দেব না। এখনো অনেক ফ্যাসিস্টদের অস্তিত্ব রয়েছে, আমরা ফ্যাসিস্টদের এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই, এ স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এ বাংলাদেশে হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের যে ভাইয়েরা এ স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের রক্তের মূল্য দিতে যেকোনো সময় নিজেদের রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তিতে শুরু হয় ছাত্র-জনতার ‘শহীদি মার্চ’ পদযাত্রা।
পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
[231316]
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব-কলাবাগান-সংসদ ভবন-ফার্মগেইট- কারওয়ান বাজার-শাহবাগ-রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
আইএ