ঈদে ৫ দিন ও দুর্গাপূজায় ছুটি দুই দিন করার পরিকল্পনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম

ঢাকা : ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় পাঁচদিন করে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিনের প্রস্তাব করে ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিতে যাচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে পাঠিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ওঠার পর অনুমোদন পেলে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

[234691]

২০২৫ সালে সরকারি ছুটির খসড়া প্রস্তুত : ঢাকা: ২০২৫ সালের ছুটি সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই তালিকা অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বেঠকে পাঠানো হবে। সেখানে পাশ হলেই কার্যকর হবে। ছুটি সংক্রান্ত প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠার কথা রয়েছে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

জানা গেছে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ (চৌদ্দ) দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি (৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত) ১৭ দিন প্রস্তাব করা হয়েছে। আর শুক্র ও শনিবার ছুটিসহ মোট ২৬ দিন। 

এদিকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুমোদিত মোট ছুটি (২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২০ দিন।  আর শুক্রবারসহ ছিল ২২ দিন। 

[234670]

এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছ থেকে খসড়া ছুটির তালিকা চাওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছুটির খসড়া তালিকা প্রস্তুত করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঠানো হবে। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিদ্ধি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষো ২ (দুই) দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ১ (এক) টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (১টি শনিবার)।

এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত ১৫ বছরে প্রবর্তিত ৮টি জাতীয় দিবস বাতিল করছে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ), শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী (৫ আগস্ট), বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী (৮ আগস্ট), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জাতীয় সংবিধান দিবস (৪ নভেম্বর), স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস (১২ ডিসেম্বর), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট)।

এমটিআই