ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। বিচার শুরুর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৭ আক্টোবর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
[234753]
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তাকে ফেরানোর বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী— জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আদালত একমাস সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে ফেরত আনার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটি অবশ্যই আমরা করব।
শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে— এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কীভাবে আনা হবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো কোর্ট বলেছে তাদের গ্রেপ্তার করতে। পরোয়ানা তো আমার কাছে আসেনি এসেছে পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ সেটি পারবে না, কারণ সে দেশে নেই। যখন আমাদের কাছে আসবে তখন দেখা যাবে।
[234752]
বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্ট্যাটাস (শ্রেণি) জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, মাত্র খবরটা এসেছে। সামনে হয়ত আপডেট পাব। বিস্তারিত আসলে হয়ত জানাতে পারব।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে। এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’।
[234764]
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোতেও শিরোনাম প্রায় একই রকম করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে।
আইএ