ঢাকা: সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪-দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়ান্দা বিভাগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
ডিএমপি সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, আমুকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১৮ আগস্ট আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়।
আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠিতে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করে।
আমির হোসেন আমু ১৯৭০ সালের প্রাদশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবে মনোনীত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৮-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮১ হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক ছিলেন।
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬-০৮ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা যখন বন্দি ছিলেন তখন যে কয়জন নেতা দলের নেতৃত্বে ছিলেন আমু তাদের মধ্যে একজন।
২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে চলে যান দলটির অধিকাংশ নেতা। কেউ কেউ পালিয়ে বিদেশ গেলেও অনেকে দেশেই রয়ে যান। ইতোমধ্যে তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এসএস