ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর রিটজ কার্লটন হোটেলে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানান আল আজহার আল শরিফের গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল তায়্যেব।
একইসঙ্গে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত বৃত্তি ঘোষণা করবে বলে জানান গ্র্যান্ড ইমাম।
[237017]
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।
গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, আমরা আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। আপনি একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি। বিপ্লবের পর দেশটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।আপনার বিজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আমি আপনাকে সম্মান জানাই।
এসময় ড. ইউনূস আমন্ত্রণের জন্য গ্র্যান্ড ইমামকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গ্র্যান্ড ইমামকে বাংলাদেশে এসে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গঠিত ব্যাপক পরিবর্তনগুলো নিজ চোখে দেখার আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা গণজাগরণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করেন।
[236999]
গ্র্যান্ড ইমাম আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তিনি ড. ইউনূসের নেতৃত্ব, তার সামাজিক সেবা, মাইক্রোলেন্ডার হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের অগ্রণী ভূমিকা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার আজীবনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আল আজহারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, আশির দশকের শুরুতে যখন গ্রামীণ ব্যাংক চালু করেছিলেন, তখন শীর্ষ সুন্নি ইসলামি প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোলেন্ডারের সুদ ব্যবস্থাকে ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে ঘোষণা করেছিল।
বিপ্লবের সময় দেওয়াল চিত্র ও গ্রাফিতির ওপর প্রকাশিত প্রখ্যাত আর্ট বুক দ্য আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ-এর একটি কপি গ্র্যান্ড ইমামের হাতে তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় গ্র্যান্ড ইমাম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিল্প প্রতিভার প্রশংসা করেন। এছাড়া আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও প্রশংসা করেন তিনি।
আইএ