ঢাকা: আজ (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে বেলা ১১টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো রুট উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার সিদ্ধান্তে তা আটেকে গেছে।
বারবার আশ্বাসের পরও মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন দেওয়া এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় ১ ডিসেম্বর থেকে রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন চালাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ফলে তারা ৮ ঘণ্টা ডিউটির পর হেড হেডকোয়ার্টারে ১২ ঘণ্টা ও রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে ১০ ঘণ্টা বিশ্রাম নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
[238656]
এতে করে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে, চলছে না নির্ধারিত সময়ে ট্রেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় গতকাল রোববার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারাদেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
[238644]
জানা গেছে, ২ হাজার ২৫০টি লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদের মধ্যে মাত্র ৭৫০টি পদ পূর্ণ রয়েছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম না করে ৫/৬ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই ট্রেনের সময়সূচি ধরে রাখতেই আবার ট্রেন চালাতে হতো তাদের। কিন্তু তারা এখন এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না।
ঘোষণা দিয়েও কেন আজ পুরো রুটে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চালানো গেল না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেনদরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।
এম