ঢাকা: ২০টি দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওইসব দেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূতকে ফেরত আসতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যে সুপারিশ আসছে, সেটিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত পিএলআরে চলে যাবেন। তাদের রিকল করা হয়েছে। প্রায় ২০টি দেশের মতো রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়োগের উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এগুলোর কিছু বিষয় আছে প্রশাসনিক, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কমিটি সুপারিশসহ রিপোর্ট দিয়েছেন। জানিয়েছেন তারা ১৫৪০ জনের মতো আবেদন পেয়েছিলেন, সেটা যাচাই-বাছাই করে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তারা ২০০৯ থেকে ৪ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সচিব থেকে শুরু করে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেও তিনি জানান।
এখনও প্রশাসনে বিগত সরকারের দোসর রয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে সরকারে অবস্থান কী জানতে চাইলে উপ-প্রেস সচিব বলেন, প্রশাসনে রদবদল নিয়মিত প্রক্রিয়া। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার রদবদল হয়েছে। এটি চলমান রয়েছে। সরকার যখনই যেখানে প্রয়োজন মনে করছে, সেখানে কাউকে পদোন্নতি দিচ্ছে, বদলি বা পদায়ন করছে। কারও বিরুদ্ধে আগের সরকারের সঙ্গে কাজ করার বা সুবিধাভোগীর গুরুতর অভিযোগ আসছে। আবার প্রশাসনিক অন্যান্য কারণেও হচ্ছে।
এম