‘উজ্জ্বল আইনজীবী’ হাসান আরিফের মৃত্যু

শোকাহত ইউনূস বিমানবন্দরে নেমেই ছুটে গেলেন হাসপাতালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম

ঢাকা : ভুমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে আইনজীবী হিসেবে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে মন্ত্রী মর্যাদায় ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এ এফ হাসান আরিফ। বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল বিভিন্ন মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী হিসেবেও আদালতে দাঁড়িয়েছেন।

[240113]

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাসায় খেতে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক শোকবার্তায় বলা হয়, কায়রোতে ডি এইট সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার বিকেলে দেশে পৌঁছানোর পরপরই হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন ইউনূস।

প্রয়াত উপদেষ্টার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে তিনি ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং হাসান আরিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

[240114]

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।

১৯৬৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ছিলেন ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ চেম্বারের প্রধান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি।

এমটিআই