ঢাকা: ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়েছেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে তিনি দূতাবাসে যোগ দেন তিনি।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে তার দেশের রাষ্ট্রদূত পদে মনোনীত করেছিলেন বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড স্লেটন মিলকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থীকে সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে হয়। সেই শুনানি না হওয়ায় ডেভিড মিলের ঢাকায় আসা হচ্ছে না।
এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
কূটনৈতিক জীবনে জ্যাকবসন তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কসোভোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
[241542]
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন নিকট প্রাচ্য বিষয়ক ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তার আগে, তিনি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিদেশে উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের পাশাপাশি প্রথমে স্কুল অব প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন এবং পরে ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসের ভবিষ্যৎ গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন।
অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং সিনিয়র ডিরেক্টর ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং লাটভিয়ার রিগায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন।
অ্যাম্বাসেডর জ্যাকবসন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সেক্রেটারির ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, দুইটি প্রেসিডেন্সিয়াল র্যাঙ্ক অ্যাওয়ার্ড এবং দ্য অর্ডার ফর পিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যানিজম ‘ইব্রাহিম রুগোভা’।
আইএ