ঢাকা : মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশেও একইমাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে শনিবার পর্যন্ত এক হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
র্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের এক মডেলে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই ভূমিকম্পের ধাক্কায় থাইল্যান্ডেও বেশকিছু স্থাপনা বিধ্বস্ত এবং কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
[246788]
শনিবার ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবেলায় জন্য পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ফায়ার সার্ভিস কিছু পরামর্শ দিয়েছে-
# বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ।
# ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
# বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা।
# ইউটিলিটি সার্ভিসের মধ্যে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা।
# ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা।
[246777]
# জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন- ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা।
# ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা।
# জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদির মধ্যে টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট- কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়।
# সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
এমটিআই