ঢাকা: বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেশন সুবিধা দিতে অর্থমন্ত্রণালয়ে সুপারিশ প্রেরণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত ১২ মার্চ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ সুপারিশ প্রেরণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেছে সচিবালয়ের বাইরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির প্রাক্কালে এ ধরণের চিঠি ইস্যু করা দুরভিসন্ধিমূলক। সবার অগোচরে এই কাজ বাস্তবায়ন করার সুপ্ত বাসনা থেকে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ কর্তৃক সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুদকের কর্মকর্ত-কর্মচারীদের ন্যায় রেশন সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুকূল বিবেচনার জন্য সুপারিশসহ নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো। এতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সদয় অনুমোদন রয়েছে।
এই সুপারিশের প্রেক্ষিতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফেরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পে-স্কেল ইতোমধ্যে ১০ বছর অতিক্রম করেছে। সকল কর্মচারীদের বর্তমান সময়ে জীবনধারণ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাস্তবতায় সকল কর্মচারী যেখানে পে-স্কেল এবং মহার্ঘভাতার জন্য আন্দোলনরত, তখন একটি বিশেষ গোষ্ঠিকে রেশন সুবিধা প্রদানের সুপারিশ বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে পে-স্কেল ও মহার্ঘভাতার দাবিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য মূলস্ফীতি বৃদ্ধি হয়নি, প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় মাসের বেতন দিয়ে ১৫ দিনের বেশি চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
১৯৯৫ সালেও আন্দোলন চলাকালীন সচিবালয়ের কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদ দেওয়া হয়েছিলো। সেই বৈষম্য আজও নিরসন হয়নি। আবার নতুন করে শুধু তাদের জন্য রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করলে বৈষম্য আরও বাড়বে।
এ অবস্থায় শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠিকে রেশন সুবিধা না দিয়ে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের রেশন সুবিধা দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী অন্তবর্তী সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফেরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। অন্যথায় উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আইএ