ঢাকা : জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ঢাকাসহ সারা দেশে মোট মামলা হয়েছে ১৪৯৯টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা হয় ৫৯৯টি। আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব মামলার চার্জশিট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
চার্জশিটে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তা ও আমলাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে।
হত্যা মামলার মধ্যে ঢাকায় সর্বাধিক ৩৩৩টি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জে ১৪৮টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ২০টি, রাজশাহী রেঞ্জে ২২টি, সিলেট রেঞ্জে ১৫টি, জিএমপিতে ১৬টি, সিএমপিতে ১০টি, এসএমপিতে ৩টি, খুলনা রেঞ্জে ১০টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, আরএমপিতে ৫টি এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৭টি মামলা রুজু হয়।
[247282]
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে স্থানীয় রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটনের তদন্ত কর্মকর্তা, পিপি, বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিচারকদের সমন্বয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক আইনগত পরামর্শ দিতে একজন অভিজ্ঞ আইন বিশারদকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মামলার সঠিক ও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করলে পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর ইউনিট প্রধানদের জানিয়ে দিয়েছে। মামলার কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
[247273]
তারা বলেন, ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা জানতে পেরেছি।
বিশেষ করে দায়ের হওয়া গণঅভ্যুত্থানের মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারলে আমাদের পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। নির্ভুল তদন্ত করতে পারলে পদায়ন ও পদোন্নতিও মিলবে বলে বলা হয়েছে। মামলার তদন্তকাজে ব্যাঘাত ঘটার বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করা হয়েছে। কারোর কথায় তদন্ত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এমটিআই