ঢাকা: সোমবার (২৬ অক্টোবর) অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব শক্তির পক্ষ থেকে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব শক্তির যুগ্ন আহবায়ক মারুফ সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এইচ.এম. বিল্লাল হোসেন রাজু, বাংলাদেশ যুব শক্তির যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সাইফুল, জগতপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসীন মুন্সি ও স্বেচ্ছাসেবক পথের আলো সংগঠনের বিপ্লবী সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাকিল প্যাদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ যুব শক্তির যুগ্ন আহবায়ক মারুফ সরকার জানান, শেরেবাংলা ছিলেন সাহসী, জনদরদী ও অসাধারণ নেতা। তিনি ছিলেন জোতদার মহাজনদের নির্মম শোষণ-অত্যাচারে জর্জরিত তদানীন্তন বাংলার কৃষক-প্রজা, দরিদ্র ও মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। সাধারণ মানুষের কল্যাণসাধনই ছিল তার রাজনীতির মূল দর্শন।
১৮৭৩ সালের আজকের এই দিনে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিঞা বাড়িতে তার জন্ম। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তার অবদান ছিল। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন।
সোনালীনিউজ/এসএস/এসআই