সিলেট : রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেটে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা: সিলেটের উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সিলেট হোটেল ষ্টার প্যাসিফিকে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ অথবা অন্য রাজনৈতিক আদর্শে ভিন্নতা থাকলেও একটি জায়গায় ভিন্নতা থাকার কোনো সুযোগ নেই আর তা হচ্ছে দেশ, মানুষ এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাজনৈতিক ভিন্নতা বিবেচনায় না নিয়ে দেশের উন্নয়নে অর্থাৎ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং শেখ হাসিনার সহকর্মী হিসেবে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন আমরা সে রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ অথবা পাহাড়ি-উপকূলীয় অঞ্চল সবই বাংলাদেশের অংশ। তাই সকল অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমগ্র দেশের উন্নয়নে কাজ করে সরকার। সকল অঞ্চল এবং মানুষের উন্নয়ন করতে না পারলে দেশ উন্নত হবে না। আর এই স্বপ্নটাই বঙ্গবন্ধু দেখেছেন বলেও জানান তিনি।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পূণ্যভূমি ও পর্যটন নগরী সিলেটকে আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে হলে মাস্টার প্ল্যান অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। শিক্ষার হার বাড়াতে হলে আমাদের সবার কাজ করতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। কারণ সিলেটে চাহিদার তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম।
এসময়, প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স, সুরমা রিভার ফ্রন্ট এক্টিভিটিজ, শেখ হাসিনা শিশু পার্কের উপরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এছাড়া এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ খান, ডিপিএইচই'র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চৌহাট্টা-বন্দর সড়ক, জেলা পরিষদের মার্কেট উদ্বোধন এবং লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনসহ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই