ঢাকা : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ব্যবসায়ীক দৃষ্টিকোন থেকে করোনা টিকা আমদানী করায় বিকল্প উৎস রাখা হয়নি, তাই বাংলাদেশে টিকা ব্যবস্থাপনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একটি কোম্পানী কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে কিন্তু নিশ্চয়তা মেলেনি টিকা পাওয়ায়।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী একটি বেসরকারী কম্পানী মাধ্যমে করোনা টিকা আমদানি করে সরকার। এতে টিকা প্রতি ঐ কম্পানিটি ৭৭টাকা মুনাফা করেছে। শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমদানি করে তারা লাভ করেছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই কম্পানি এপ্রিলে আরো ২০ লক্ষ ডোজ টিকা আমদানি করেছে বিদ্যমান সেই চুক্তির আওতায়। অর্থাৎ সেখানে লাভ করেছে প্রায় ১৫ কোটি ৪০ লাক্ষ টাকা। দেশের কোটি কোটি টাকা হরিলুট হচ্ছে করোনা টিকা আমদানীতে এরকমই প্রতীয়মান হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে সে উৎস থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ও কোন বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা না রাখায় এখন টিকা প্রাপ্তি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে। মহামারীর ভয়াবহতা যখন বাংলাদেশের দোড় গোরায় কড়া নারছে তখন আমরা টিকার অভাবে টিকা দান কর্মসূচী স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, করোনাকালে টিকা নিয়ে বানিজ্য গ্রহনযোগ্য নয়। আবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অদুরদর্শী সিদ্ধান্তের কারনে টিকার মজুদ প্রায় শেষের পথে। এমন পরিস্থিতিতে টিকা দান কর্মসূচী স্থগিত রাখায় মহা সঙ্কটে সারা দেশ। দেশের মানুয় গভীর উৎকন্ঠায়। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি তা জানতে আগ্রহী।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ