ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসা বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড-পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনোমতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। তার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।’
‘স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর জন্যে দেশনেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়।’
গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে দলের পরবর্তী উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি, তার পরিবার বিদেশে পাঠানোর বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্যে যা কিছু সরকারের করা দরকার, সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি।’
‘তারপরের যে স্টেপগুলো আছে, পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৯ জুন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতালে করোনা সংক্রামণ-ঝুঁকি থাকার কারণে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তিনি চিকিৎসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম কয়েকদিন কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা বাড়লে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে একমাস ছিলেন তিনি।
সোনালীনিউজ/এমএইচ