ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জয়।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বয়স এখন অর্ধশতক, বাংলাদেশের সমান বয়স। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর পর বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের, ডিজিটাইজড দেশ। আমি এখন একজন মধ্য বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা!’
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও তারুণ্যের অহংকার : ‘আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। তরুণদের প্রশিক্ষিত করে যদি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমরা খুব দ্রুতই তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্ববাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারব।’
তরুণদের নিয়ে এভাবেই স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।যাকে বলা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর।
আজ এই মানুষটির ৫১তম জন্মদিন। জয় নামটি রাখেন তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ২৭ জুলাই ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন জয়। বাবা এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে দেশের বাইরে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
এর ফলে জয়ের শৈশব এবং কৈশোর কাটে ভারতে। তিনি উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যক্তিজীবনে জয় ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন জয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন। যদিও আওয়ামীলীগের বিগত মেয়াদের সরকারে ২০১৪ সালেও প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র।
এর আগে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্লোগানটি যুক্ত হয় তার কারিগর ছিলেন জয়। পরবর্তী সময়ে পর্দার অন্তরালে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। দলীয় ঘরানার বাহিরে তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিশেষত জয় দেশের তরুণদের ভেতরে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কর্মসূচি ও পদক্ষেপের মধ্যে ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ প্রোগ্রাম দুটি দেশের তরুণদের মেধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
এদিকে সজীব ওয়াজেদ জয়-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক ডাক টিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিল মোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোনালীনিউজ/এমটিআই