ঢাকা : দেশে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছয় বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
রোববার (১০ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের বৈঠকে ঢাকা বিভাগের বাকি আটটি জেলা এবং সিলেট বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়।
এর আগে শুক্র ও শনিবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের বৈঠকে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের ৫টি (ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ) জেলার দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সভার প্রথম দিন চূড়ান্ত হয় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দলীয় প্রার্থী তালিকা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রশিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অতীত কর্মকা-, দলের জন্য ত্যাগ এবং জনপ্রিয়, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নারী নেতৃত্ব বাড়াতে অনেক ইউপিতে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য এবার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বেশি সময় লাগছে।
দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এই ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ৪ হাজার ৪৫৮ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তাদের মধ্যে থেকেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে টানা চার দিনের বৈঠকে সব মিলিয়ে ছয়টি বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত হলো। আজ সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে আবার বৈঠকে বসবেন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। সেখানে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী বাছাই করা হবে।
দুই ইউপিতে আ.লীগ প্রার্থীর নাম সংশোধন : দুটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীর নাম সংশোধন করে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা হলেন মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নে মো. রেজাউর রহমান এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নে প্রতাপ কুমার রায়।
রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনীত প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় অসাবধানতাবশত দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনীত প্রার্থীর পরিবর্তে ভুল নাম লিপিবদ্ধ হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে ওপরে উল্লেখিত দুটি ইউনিয়নের ওই দুজন প্রার্থীর নামের তালিকা যুক্ত করা হয়।
মনোনয়ন পেলেন যারা
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের সিলেট বিভাগ, রাজশাহী বিভাগের ১টি ইউনিয়ন এবং ঢাকা বিভাগের ৮টি জেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে মো. আনসারুল হক।
ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কুশুরায় মো. নুরুজ্জামান। টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার বীরতারায় আহাম্মদ আল ফরিদ, বানিয়াজানে মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, যদুনাথপুরে মীর ফিরোজ আহমেদ, পাইস্কায় মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, ধোপাখালীতে মো. আকবর হোসেন, মুশুদ্দিতে মো. আবুল কায়ছার, বলিভদ্রতে মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার। সখিপুর উপজেলার যাবদপুরে একেএম আতিকুর রহমান, বহরিয়ায় গোলাম কিবরিয়া, বহেরাতৈলে মো. ওয়াদুদ হোসেন, কাকড়াজানে তারিকুল ইসলাম। দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়ায় মো. মাসুদুল হাসান তালুকদার, দেউলীতে দে. তাহ্্মিনা, পাথরাইলে রামপ্রসাদ সরকার, লাউহাটিতে মো. হাবিবুর রহমান, দেলদুয়ারে মো. মাসুদ-উজ্জামান খান, ডুবাইলে মো. ইলিয়াছ মিয়া, এলাসিনে মো. বেলায়েত হোসেন ও ফাজিলহাটিতে মো. শওকত আলী।
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়ায় নূরুল ইসলাম, ভাগ্যকুলে কাজী মনোয়ার হোসেন, রাড়িখালে মো. বারী (বারেক), বারৈইখালীতে মো. ফারুক হোসেন, কুকুটিয়াতে আক্তার হোসেন মিন্টু, তন্তরে মো. জাকির হোসেন, আটপাড়ায় মো. রকিবুল ইসলাম মাসুদ, পাটাভোগে মুন খান, বীরতারায় মো. আজিম খান, শ্যামসিন্ধিতে শফিকুল ইসলাম মামুন, ষোলঘরে মো. আজিজুল ইসলাম, হাঁসাড়ায় মো. আহসান হাবীব ও শ্রীনগরে মো. মোখলেছুর রহমান।
নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার আলোকবালিতে মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার, চরদিঘলীতে মো. দেলোয়ার হোসাইন। রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জে শাহানা বেগম, বাঁশগাড়ীতে মো. আশরাফুল হক, চরসুবুদ্ধিতে নাসির উদ্দিন, চরমধুয়ায় মো. নূর আলম ফকির, হাইরমারায় মো. কবির হোসেন, মির্জানগরে মো. হুমায়ুন কবির সরকার, মির্জারচরে মো. ফিরুজ মিয়া, নিলক্ষায় মো. তাজুল ইসলাম, পাড়াতলীতে মো. ফেরদৌস কামাল ও শ্রীনগরে মো. রিয়াজ মোর্শেদ খান।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলায় আমজাদ হোসেন, উজানচরে মো. গোলজার হোসেন মৃধা।
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার রামকান্তপুরে মো. আশরাফ আলী, যদুনন্দীতে আ. রব মোল্যা, গট্টিতে হাবিবুর রহমান লাবলু, ভাওয়ালে মো. ফারুকউজ্জামান, সোনাপুরে মো. খায়রুজ্জামান, আঠঘরে মো. শহীদুল হাসান খান, মাঝারদিয়ায় মো. আফছারউদ্দীন মাতুব্বর ও বল্লভদীতে মো. নুরুল ইসলাম। নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদীতে মো. কামরুজ্জামান, পুরাপাড়ায় মো. বেলায়েত হোসেন মিয়া, কোদালিয়া শহীদনগরে খোন্দকার জাকির হোসেন (নিলু), ফুলসুতীতে মো. আরিফ হোসেন, কাইচাইলে মো. মোস্তফা খাঁন, তালমায় রনজিৎ কুমার ম-ল, রামনগরে মো. মান্দার ফকির, ডাঙ্গীতে কাজী আবুল কালাম ও লস্করদিয়ায় মো. এসকেন্দার মাতুব্বর।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুরে মো. লুৎফর রহমান মিয়া, পারুলিয়ায় মকিমুল ইসলাম, মাহমুদপুরে মাসুদ রানা, সাজাইলে কাজী জাহাঙ্গীর আলম, কাশিয়ানীতে মশিউর রহমান খান, রাতইলে বিএম হারুন অর রশিদ পিনু ও রাজপটে মিল্টন মিয়া।
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আবদুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুরে মো. মজিবর রহমান মোল্যা, চর দৌলতখানে মো. চাঁন মিয়া সিকদার, শিকারমঙ্গলে মো. সিরাজুল আলম মৃধা, কয়ারিয়ায় মো. জাকির হোসেন, সাহেবরামপুরে মো. কামরুল আহ্সান সেলিম, রমজানপুরে বিএম মিল্টন ইব্রাহীম, আলীনগরে সাহীদ পারভেজ, বালিগ্রামে ইসতিয়াক হোসেন খান, নবগ্রামে বিভূতি ভূষণ বাড়ৈ, কাজীবাকাইলে সাইদুল ইসলাম, ডাসারে মো. রেজাউল করিম শিকদার ও গোপালপুরে মো. দেলোয়ার হোসেন।
শরীয়তপুর জেলার শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুরে আবদুস সালাম খান, চিতলিয়ায় হারুন-অর-রশিদ, আংগারিয়ায় আসমা আক্তার, ডোমসারে মিজান মোহাম্মদ খান, পালংয়ে আবুল হোসেন দেওয়ান, তুলাসারে জামাল হোসাইন, রুদ্রকরে সিরাজুল ইসলাম, বিনোদপুরে আবদুল হামিদ সাকিদার, শৌলপাড়ায় মো. আলমগীর হোসেন খান ও মাহমুদপুরে শাহ আলম।
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আজমিরীগঞ্জে মো. মোবারুল হোসেন, বদলপুরে সুষেনজিৎ চৌধুরী, জলসুখায় মো. শাজাহান মিয়া, কাকাইলছেওতে মো. মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও শিবপাশায় মো. তফছির মিয়া।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগরে মোহাম্মদ জায়েদ আনোয়ার চৌধুরী, পশ্চিমজুড়ীতে শ্রীকান্ত দাশ, পূর্বজুড়ীতে আবদুল কাদিও, গোয়ালবাড়ীতে শাহাব উদ্দিন আহমদ, সাগরনালে মো. আবদুল নূর।
সিলেট জেলার সিলেট সদর উপজেলার, জালালাবাদে মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ইছাহাক, হাটখোলায় মো. মুশাহিদ আলী, মোগলগাঁওতে মো. হিরন মিয়া ও কান্দিগাঁওয়ে মো. নিজাম উদ্দিন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে মো. মুল্লুক হোসেন, তেলিখালে মো. নুর মিয়া (চেয়ারম্যান), ইছাকলসে এখলাসুর রহমান, উত্তর রণিখাইতে মো. ফয়জুর রহমান ও দক্ষিণ রণিখাইতে মো. ইকবাল হুসেন ইমাদ।
বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুরে মো. শিহাব উদ্দিন, বোয়ালজুড়ে আনহার মিয়া, দেওয়ানবাজারে ছহুল আবদুল মুনিম, পশ্চিম গৌরিপুরে হাজী মো. আমিরুল ইসলাম (মধু), বালাগঞ্জে মো. জুনেদ মিয়া, পূর্ব গৌরিপুরে হিমাংশু রঞ্জন দাস।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুরে মো. আবদুল হেকিম, ছাতকে রঞ্জন কুমার দাস, কালারুকে মো. অদুদ আলম, খুরমা উত্তরে বিল্লাল আহমদ, চরমহল্লায় মো. কদর মিয়া, খুরমা দক্ষিণে আবদুল মছব্বির, জাউয়াবাজারে নুরুল ইসলাম, দোলারবাজারে মো. সায়েস্তা মিয়া, গোবিন্দগঞ্জের সৈদেরগাঁওয়ে সুন্দর আলী, ছৈলা আফজালাবাদে গয়াছ আহমদ।
দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁওয়ে অসিত কুমার দাস, পান্ডারগাঁওয়ে আবদুল ওয়াহিদ, দোহালিয়ায় আনোয়ার মিয়া আনু, লক্ষ্মীপুরে মো. আবদুল কাদির, বোগলাবাজারে মোহাম্মদ মিলন খান, সুরমায় এমএ হালিম বীর প্রতীক, বাংলাবাজারে মো. মানিক মিয়া, নরসিংপুরে নুর উদ্দিন আহমদ ও দোয়ারাবাজারে মো. আবদুল হামিদ।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ