ঢাকা : হঠাৎ করেই উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)। ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে অবস্থানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর রেশ না কাটতেই ঢাবির মাস্টারদা সূর্য সেন হলে জ্যেষ্ঠ একজনকে সালাম না দেয়ায় মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগকর্মী। হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই ছাত্র।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মানিকুর রহমান মানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী সাজ্জাদুর হক সাঈদি নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তারা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী।
কী ঘটেছিল : ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদুর হক বলেন, ‘আমি আমার একটা ব্যক্তিগত কাজে রুমে বসে রাত ১১টা থেকে একটা অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত ছিলাম। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমাদের রাজনৈতিক গ্রুপের মাস্টার্সের কয়েকজন বড় ভাই আমাদের রুমে আসেন। তখন আমি অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত থাকায় উঠে উনাদের সালাম দিতে পারিনি।
‘আমি এবং রুমের বাকি কয়েকজন সদস্য গেস্টরুম এবং প্রোগ্রামে অনিয়মিত হওয়ায় উনারা রুমে থাকা আমার বাকি বন্ধুদের বলেন, আমরা যেন ৩২৬ নং কক্ষে শিফট হয়ে আমাদের রুমটা খালি করে দেই। এ কথা বলেই উনারা চলে যায়।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, “বড় ভাইয়েরা চলে যাওয়ার পর চতুর্থ বর্ষের মানিক ভাই এবং আরও কয়েকজন ভাই আমাদের রুমে ঢুকেন। তখনও আমি মিটিংয়ে যুক্ত থাকায় উঠে উনাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক এবং সালামও দিতে পারিনি।
“এরপর মানিক ভাই আমাকে বলে, ‘তোর বাড়ি কোথায়? তুই মিটিং থেকে উঠিস না ক্যান? ভাইয়েরা আসছে দেখিস না?’ এগুলো বলেই খারাপ ভাষায় আমার মা-বাবাকে জড়িয়ে আমাকে গালাগাল করে। এরপর জুতা নিয়ে আমার বিছানার উপর উঠে আমার কলার চেপে ধরে মিটিং থেকে তুলে আমাকে বিছানার মধ্যে ফেলে দেয়। মিটিংটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমি তারপরও মিটিংটা চালিয়ে গেছি।”
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘মিটিং শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে মানিক ভাই আমাকে কানে জোরে থাপ্পড় দেয়। এরপর মাস্টার্সের বড় ভাইয়েরা রুমে ঢুকে। উনাদের সামনেও আমাকে বুকের মধ্যে লাথি মারলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপর আমাকে রুম থেকে চলে যেতে বলে আর আমি ক্যামনে হলে থাকি, সেটা উনি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।’
সাজ্জাদ বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমার রুমেই আছি। এই ঘটনায় আমি আগামীকাল (বুধবার) হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মানিকুর রহমানের মোবাইলে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, ‘আমি এখন হলের বাইরে আছি। এই বিষয়ে অল্প শুনেছি। হলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’ সূত্র : নিউজবাংলা।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ