ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জনবিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে জনগণ। আন্দোলন যখন বিস্ফোরণমুখী, তখন কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে, বিএনপিকে নির্যাতন করে সরকার একটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, দয়া করে বিএনপি ও মানুষ মারার বিস্ফোরণ ঘটাবেন না।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ উদ্ধৃত করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ মুক্তি চায়, বাঁচতে চায়। এটা কিন্তু আপনার (প্রধানমন্ত্রী) আব্বা হুজুরের কথা। আমরা সেই আন্দোলন করছি। এদেশের মানুষ ভোটাধিকার চায়। এবারের সংগ্রাম গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।’
আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি-গুম-খুন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এমন সময় আসবে পাড়া-মহল্লায় লেখা থাকবে, ‘এখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই।’ যেভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লেখা হয়েছিল, ‘এখানে রাজাকার নেই।’'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে। প্রতিবেশী বা বিদেশি যারা এই মার্কেটিং করছেন তাদের বলব, আপনারা শান্ত হোন। এ দেশের জনগণ কী চায় সেটা উপলব্ধি করুন, অন্যথায় জনগণ আপনাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলবে।’
সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শিরীন সুলতানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই