নিবন্ধন পেলে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাবে কিনা জানাল জামায়াত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম

ঢাকা : এক দশক পর ঢাকায় সমাবেশ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জামায়াতে ইসলামী।

নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের মাঠের রাজনীতিতে ফেরার এ কর্মসূচিকে ঘিরে চলছে নানা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। জামায়াতকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন। শুধু তাই নয়, দলটির নিবন্ধন নিয়েও নানা গুঞ্জন উঠেছে বর্তমান রাজনীতিতে।

সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে গণ্যমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এবং সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সেখানে আগামীর নির্বাচনে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।  

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিবন্ধন পেলে বর্তমান সরকারে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবেন কিনা, এমন প্রশ্নোত্তরে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা ১০ জুন যে সমাবেশটি করেছি, শুধু একটি দাবি নিয়ে নয়; আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে সমাবেশটি করেছি। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সব নেতৃবৃন্দের মুক্তি প্রধান দাবি ছিল। তা ছাড়া আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন আছে, সেটি আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং দ্রব্যমূল্যে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনাসহ ১০টি দাবি জানিয়েছি সমাবেশ থেকে।

নির্বাচন যাওয়া প্রসঙ্গে জামায়াতের এই অন্যতম শীর্ষনেতা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সঙ্গে দলের নিবন্ধন পাওয়া না পাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো একেবারেই ভিন্ন এজেন্ডা এবং ভিন্ন জিনিস।

[201461]

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন এ দেশের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, বাকশালের মাধ্যমে গঠিত সব দলকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে পিপিআর আওতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দরখাস্ত করার আহ্বান করা হয়েছিল। সেই সময় জামায়াত ইসলামী আবেদন করে নিবন্ধন পেয়েছিল। সেই থেকে জামায়াত ইসলামী একটি বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজ পর্যন্ত কাজ করে আসছে।

আমাদের দলের সিদ্ধান্ত আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নিরপেক্ষ সরকার অথবা নির্দলীয় সরকার যে নামেই আসুক না কেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যাবে না। এর কারণ হচ্ছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন দেখেছি— কী প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে । উনার (প্রধানমন্ত্রী) নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে পারেননি ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই