জিএম কাদের

দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি বাধা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

ঢাকা: সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ এর ১, ২, ৩ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সংবিধান সশোধন করে এটাকে বৈধ করতে পারবে না।’

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের সাগরসৈকত কনভেনশন হলে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

[227031]

তিনি বলেন, ‘মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত ২৯ এর ১, ২, ৩ ধারা পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংবিধানে দেওয়া হয়নি। এদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। আমাদের মধ্যে ডিভাইড অ্যান্ড রুল করে বৈষম্য করা হয়। কিছু সংখ্যক লোককে সুবিধা দিতে বেশির ভাগ মানুষকেই বঞ্চিত করা হয়। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে বাঙালিরা ভূমিকা রেখেছে শুধু বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানিরা আমাদের দারিদ্রসীমার নিচে থাকতে বাধ্য করেছিল। ফলে প্রথমে স্বাধীকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।’

জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ আবার ডিভাইড অ্যান্ড রুলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা সমাজকে বিভক্ত করেছে। শাসক শ্রেণি এই দেশকে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পত্তি মনে করে। তারা আইনের ঊর্ধে এবং পছন্দ মতো আইন তৈরি করে। শাসক শ্রেণির কাছে প্রথম শ্রেণির নাগরিক হচ্ছে পিওর আওয়ামী লীগ ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনী। অনুগত প্রশাসন ও অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন, নির্যাতন ও বৈষম্য করার জন্য।’

[227015]

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী হতে চাই। বৈষম্য বিরোধী এই আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমাদের জাতীয় শহিদ মিনার। আমাদের শহিদ মিনার হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতির প্রতীক। আমরা আওয়ামী লীগের এই বৈষম্য মানি না। আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ হচ্ছে বৈষম্যহীন, ন্যয়বিচারভিত্তিক নিজেদের দেশ গড়ার প্রত্যয়। শহিদ মিনার ও স্মৃতিসৌধে শপথ নিতে হবে আমরা বৈষম্য মানি না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে এবং উপযুক্ততার ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে।’

আইএ