ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা উন্মুক্ত সমাবেশে গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ।
সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে সাক্ষী রেখে এই যুবদল নেতা বলেন, কুষ্টিয়ায় শেষের দিন, যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়; সর্ব প্রথম কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।'
গত বুধবার বিকালে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি রোধে চালকল মালিক ও স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন আব্দুল মাজেদ।
[231580]
সেই সভায় দেওয়া তার ভিডিও বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে মাজেদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার তিনটা ছেলে, আমার পরিবার। আপনাদেরই ভাই, আপনাদেরই চাচি। সে নিজেও এই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। আপনারা আপনাদের ছেলেপেলেদের মারেও ঠেকাতে পারেন নাই। রক্তে যখন টান দেয়, তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না। তাই জনগণের স্রোতে হাসিনা চলে গেছে।’
মাজেদ আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব— আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে কুষ্টিয়ায় আমাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। জনগণ ভোট না দিলে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দম যেন বন্ধ না হয়। হানিফ, আতা ও খুনি হাসিনার মতো যেন পালাতে না হয়।’
[231537]
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য যদি তিনি দিয়ে থাকেন, তাহলে ঠিক করেননি। বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করা হবে। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় চলে ব্যাপক ভাঙচুর। অস্ত্র লুটপাট ছাড়াও থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৮ থেকে ১০ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এসএম আব্দুল আলিম।
[231530]
আইএ